জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর প্রতিনিধি : মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর বাজারে বিভিন্ন স্থান জুড়ে ফুটপাতের দোকান, রাস্তার পাশে, অলিতে-গলিতে ও মোড়ে মোড়ে এখন শোভা পাচ্ছে পিঠার দোকান। শীত আসার সাথে সাথে মনোহরপুরে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি। শীতের এ মৌসুমে মুখে জল আনা পিঠা-পুলির দোকানে ভিড় করছে শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ সব বয়সীর মানুষ। পিঠা খেতে খেতে মজার গল্পে মেতে ওঠেন তারা। এদিকে পিঠা বিক্রি বাড়ায় বেজায় খুশি বিক্রেতারা।
উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, দিনের বেলায় তেমন একটা দেখা না গেলেও সন্ধ্যা থেকেই জমে ওঠে ভ্রাম্যমান এসব পিঠার দোকান। এসব দোকানে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম চিতই পিঠা ও পাটিসাপটা পিঠা বানানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠা বেশি জনপ্রিয়। পিঠার দোকান গুলোতে প্রতি পিচ চিতই পিঠা ৬ টাকা ও ভাপা পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোনো কোনো জায়গায় ১৫ টাকায় বিক্রি হয় স্পেশাল ভাপা পিঠা। আবার অনেক দোকানি চিতই পিঠার মধ্যে ডিম দিচ্ছেন।
এই ডিম চিতিই পিঠা প্রতি পিচ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভাপা পিঠা বানালেও চিতই পিঠার সঙ্গে এসব দোকানিরা দিচ্ছে সরিষার ভর্তা, শুটকি ভর্তা, মরিচের ভর্তা ও ধনেপাতা ভর্তা। এসব দোকানে পিঠা খেতে আসা মানুষেরা বলেন, শীতের আমেজে পিঠা খেতে ভালোই লাগে। বিক্রেতারা জানান, শীতের মৌসুম এলেই তাঁরা কেবল এই ব্যবসায় জড়ান। বছরের অন্যান্য সময় তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় শ্রম দেন। তাঁরা বলেন, এ বছর শীতের আগমনে পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে এক-দেড় মাস ধরেই।
এসব শীতের পিঠার দোকান জমে উঠেছে। পিঠা প্রেমিকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে এসব দোকান। পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীরাও দোকানে পিঠা বিক্রি করছেন।রফিক, জাহাঙ্গীর,ও নামের কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আমরা প্রায়ই এখানে পিঠা খাই। চাল ভেঙে গুড়া করে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয় না। ঝামেলা ছাড়া স্বল্প দামে হাতের নাগালে এখন পিঠা পাই। তাই এসব পিঠাই আমাদের ভরসা। মনোহরপুরের অনেকেই বলেন, বাসায় পিঠা তৈরি করা অনেক কষ্টকর ও ঝামেলা মনে হয়।
তাই আমার বাজার থেকে চিতই ও ভাপা পিঠা কিনে নিয়ে যাই। আমার পরিবারের সদস্যরা এই পিঠাগুলো খুব পছন্দ করে। মনোহরপুর কাচা বাজারে যেতে তার পাশে সামনে পিঠা বিক্রেতা মো আতিয়ার।