অহিদুজ্জামান খান : শুক্রবার ২১ মার্চ সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনস্থ ভোমরা, গাজিপুর, কালিয়ানী, তলুইগাছা ও কাকডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ২/৫-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ঘোষপাড়া নামক স্থান হতে ৩০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
গাজিপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৪/৪ এস এর আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন বোস্তানের ঘের নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১১/৬ এস এর আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন কামারবাড়ি নামক স্থান হতে ২৭,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৭/৬৫-এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন দায়িত্বাধীন ছয়ঘরিয়া আমাবাগান নামক স্থান হতে ৭৭,৫০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
এছাড়াও, কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ৩ ও ৭ আরবি হতে ৩০০-৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন দায়িত্বাধীন কেড়াগাছি ও রাজ্জাকের মোড় নামক স্থান হত ৭৫,০০০ ভারতীয় শাড়ি ও বোরকা আটক করে। সর্বমোট ২,৭৯,৫০০/ (দুই লক্ষ উনাশি হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে। চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়।
এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।