শ্যামনগর ব্যুরো : পশ্চিম বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবন থেকে ১৫ শত কুইন্টাল মধু ৪ শত কুইন্টাল মোমের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মধু আহরণে উদ্দেশ্য নৌকা ছেড়েছে মৌয়ালরা। (৭ এপ্রিল) সোমবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয়ে বনবিভাগের আয়োজনে মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় এবং ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে। মৌয়ালদের মধ্যে মোঃ আবু মুসা বলেন, মৌচাক থেকে যদি সময় মত মধু আহরণ না করা যায় তাহলে সেই অঞ্চলে মধু হয় না।
অভয়ারণ্য এলাকা যদি খুলে দেওয়া হয়। তাহলে সুন্দরবনে মধুর অভাব হবে না। অভয়ারণ্যে সময় মত মধু কাটা হয় না বলে প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের মধু কমে যাচ্ছে। আমাদের দাবি মধুর সময় অভয়ারণ্য এলাকাকে মুক্ত করে দেওয়া।
মধু ব্যবসায়ী নাজমুল শাহাদাত পলাশ বলেন, সুন্দরবনের মধু ব্যবসায়ীদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিবন্ধন দিতে হবে। তারা যেন বুঝাইতে পারে এটা সুন্দরবনের মধু আমরা ছাড়া অন্য কেউ বিক্রি করতে পারবেনা। তা না হলে অনলাইনে যেভাবে মধু বিক্রি শুরু হয়েছে অধিকাংশ ক্রেতারা সুন্দরবনের মধুর উপরে নেগেটিভ ধারনা চলে এসেছে। বিভিন্ন ধরনের ভেজাল মধু কেনার কারণে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, সুন্দরবনের খলিসা ফুলের মধুকে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। আশা করি আগামী দুই এক বছরের মধ্যে এই সফলতা আপনারা দেখতে পারবেন।