দেবহাটা ব্যুরো : সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি চাষে দেবহাটা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাছের ভাইরাস রোগ সহ মারাত্মকভাবে মড়ক দেখা দিয়েছে। যা উদ্বেগজনক সামাজিক এবং দেশের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়বে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৎস্য ঘেরগুলোতে চিংড়ি মাছ মরার ফলে চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতে হঠাৎ করে চিংড়ির এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে মৎস্য চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সেই সাথে তারা সমাধানের পথও খুঁজে পাচ্ছেনা। একদিকে বাগদা চিংড়ি মড়ক নাজিরের ঘের সহ সুবর্না বাদের খাল এলাকা বহু মানুষের বাথরুম ও গোয়াল ঘরের নোংড়া ও ময়লা পানি, খালের পানিতে মিশ্র হয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন ধরণের ব্যবহৃত ওষুধগুলোও সঠিক ভাবে কাজ করছেনা। ঘের গুলো বর্তমানে প্রায় পানি শূন্য ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সরজমিন নাজির ঘের এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, স্থানীয় গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ও নূরুল আমিনসহ একাধিক মৎস্য ঘের মালিক জানান, বাগদা চিংড়ি ৬০ পিস কেজি সাইজে পৌঁছানোর সাথে সাথে হঠাৎ মারতে শুরু করেছে। অনেক চাষী সমিতির থেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য ঘের শুরু করে ছিলেন। ইতোমধ্যে ঘের মালিকরা জমির হারি, রেনু পোনা ও খাবারের জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই পুঁজি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে। কেউ কেউ নতুন করে ঘের শুকিয়ে চাষের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন, তবে তাতে খরচ আর শ্রম দুটোই বাড়ছে। গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘেরের দুই কোটা মাছ ইতোমধ্যে মরে পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৎস্য চাষীদের নিকট থেকে চিংড়ি মাছ মরার তথ্য বা কথা শুনেছি। আমি ঘেরগুলো সরেজমিনে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম। পোনা সংগ্রহ এবং পানি পরিবর্তনের সময় শোধন না করার কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। তাছাড়া ভাইরাসের জন্য কোনও এন্টিবায়োটিক ঔষধ নেই, এজন্য কোন ধরণের চিকিৎসা কার্যকর হচ্ছে না। কিছু ঘের এলাকা বাথরুমের ময়লা যুক্ত দুর্গন্ধ পানি মৎস্য ঘেরে আসার কারণেও বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দেবহাটা এলাকার মৎস্য ঘের মালিকরা।