ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ গ্রামের পানি সরবারহের খাল উন্মমুক্তের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে তিন গ্রামের মানুষ। তাদের দাবী বর্ষা মৌসুম শুরুতেই ব্যাক্তিস্বার্থে নয়, জনস্বার্থে ঝুরঝুরিয়া খালটি উন্মুক্তকরণে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রহমতপুর, মানপুর, সোতা ও হোসেনপুরের শতশত নারী পুরুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময়ে সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভে অংশগ্রহন করে।
এর আগে শতশত গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধি গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে জবরদখলকৃত খালটি উন্মুক্তের দাবীতে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন।আসন্ন বর্ষাকালের আগেই নেটপাটা অপসারণসহ জনস্বার্থে পূর্বাপর ঝুরঝুরিয়া নামক খালটি ব্যাক্তি মালিকানা বাতিল করার জোরালো দাবী তুলেছেন জলাবদ্ধতার আশঙ্কিত গ্রামবাসী। সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা ও রহমতপুর মৌজার উপরদিয়ে বহমান ঝুরঝুরিয়া খালটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মানপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মাদ আলীর ছেলে শেখ বদরুল আলম মিঠু, শেখ ছবিলার রহমান ও শেখ সালাউদ্দীন (ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি) এবং সৈয়েদ আলী সরদারের ছেলে জুলফিকার রহমান সরদারসহ ৯/১০ জন খালের জমি রেকর্ড করিয়ে নিয়ে জবর দখল করে আসছে।
ফলে সোতা, বেনাদোনা, মানপুর, রহমতপুরসহ অনেক গ্রামের মানুষের শতশত হেক্টর ফসলের জমি পানিবন্দি হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বিস্তির্ণ ফসলের জমিসহ কাঁচাপাঁকা ঘরবাড়ি। এসব মাথায় রেখে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শতশত গ্রামবাসী প্রতিকার চেয়ে গত রবিবার (১ জুন-২৫) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। অনুলিপি দিয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর।
এব্যাপারে কৃষ্ণনগর ইউপির সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর জামাল ফারুক, সাবেক মেম্বর শফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আমিনুর রহমান, সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফি জানান, জনগনের কল্যাণে খাল শ্রেনীভুক্ত এখন জনগনের মূল দাবী। ব্যাক্তি বিশেষ খালটি জবর দখল করে পানি নিস্কাশনের একমাত্র খালটি নেট পাটা দিয়ে পানি সরবারহে বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এর প্রতিকার দাবী করে বিক্ষোভ কারীরা আগামীতে মিছিল, মিটিং, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ আন্দোলন অব্যহত রাখতে প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
