ডেস্ক রিপোর্ট : স.ম. আব্দুর রউফ ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরাবাসির গর্বিত অকুতোভয় এক বীর সৈনিকের নাম। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের বর্বরতা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাঙালী জাতি নিজের অধিকার ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবনবাজি রেখে যেসব মহান দেশ প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদের দেশবাসী জানাই বিন¤্র শ্রদ্ধা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল সাতক্ষীরা মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের গর্বিত অকুতোভয় এক বীর সৈনিক আ: রউফ। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে কানাই সরদার ও ফাতেমা বেগম’র ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এক ভাই’র মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। পারিবারিক ঐতিহ্যের বলয়ে তিনি ছিলেন আধ্যাত্বিক জগতের কান্ডারী।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালী জাতি নিজের অধিকার ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবনবাজি রেখে এই মহান দেশ প্রেমিক ঝাপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৮নং ধুলিহর ইফনিয়নবাসি বহুবার নির্বাচিত করে ইউনিয়নের দায়িত্বে তুলে দিয়েছেন সাবেক এই সফল চেয়ারম্যানের কাঁধে। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে।
এসময় মানুষের কল্যাণে এলাকার উন্নয়নে দৃষ্টান্তমূলক সফলতা দেখিয়ে ধুলিহর ইউনিয়নবাসী তথা সকল স্তরের মানুষের মনের মনি কোঠায় জায়গা করে নিয়ে ছিলেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রউফ। বর্তমান সময়ের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, গুলোর অধিকাংশই এই প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। শুধু এখানেই শেষ নয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রউফ গড়েছিলেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কারন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা জানতেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষা অতি জরুরি। রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম আ: রউফ’র ছিলো সক্রিয় ভূমিকা।
৮০ দশকে সদর থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। কালের আবর্তে ২০০৫ সালের ১৪ জানুয়ারি সকল গুনগ্রাহী শুভাকাঙ্খীদের কাদিয়ে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান চির নিদ্রায় নিদ্রায়িতহন মাটিয়া ডাংগা নিজ গ্রামের মাটিতে। আজ ১৪ জানুয়ারি তার ১৮তম মৃত্যু বার্ষিকী। আমরা বিন¤্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণকরি এই মুক্তি সেনাকে।