রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল : একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক সাহা হত্যা মামলাটি পুন:তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেছেন, হত্যা ঘটনার ১৯ বছরে কারা ও কেন মানিক সাহা হত্যা হলো, সেটি কেউ জানতে পারেনি। অর্থযোগানদাতা ও গডফাদাররা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন থেমে নেই।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সাংবাদিক মানিক সাহার ১৯তম হত্যাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব দাবি জানান। দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ সাংবাদিক বেদীতে খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিকি ইউনিয়ন (কেইউজে) ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে কেইউজে ও খুলনা প্রেসক্লাব পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠন কার্যালয়ে কেইউজের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. ফারুক আহমেদ। বক্তব্য দেন প্রবীন সাংবাদিক মকবুল হোসেন মিন্টু, কেইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, বিএফইউজের নির্বাহী পরিষদ সদস্য কৌশিক দে বাপী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজ। অপরদিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, ফারুক আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাহেব আলী, মল্লিক সুধাংশু, মো. শাহ আলম, এস এম কামাল হোসেন, সোহরাব হোসেন, কৌশিক দে, প্রবীর বিশ্বাস, দিলিপ বর্মণ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহবুবুর রহমান মুন্না। কর্মসূচিতে বক্তারা আরো বলেন, খুলনা অঞ্চলে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা ঘটনা ঘটলেও কোন বিচার হয়নি। এমন কী এসব রহস্য উম্মোচন হয়নি। যার কারণে সাংবাদিকদের পর নির্যাতন ও নিপীড়ন বেড়েই চলছে।
সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কথা বলেও সাংবাদিকদের কথা কেউ বলে না। আলোচনা সভার পূর্বে প্রয়াত সাংবাদিক মানিক সাহা স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উল্লেখ্য, সাংবাদিক মানিক সাহা দৈনিক সংবাদ ও নিউএজ পত্রিকার খুলনাস্থ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ইটিভি প্রতিনিধি ও বিবিসি বাংলা’র খÐকালীন সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মানিক সাহা ২০০৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন।