খুলনা অফিস : খুলনার পাইকগাছায় খাদ্যগুদামে খাবার অনুপযোগী ইনভয়েচ ছাড়া আনা চাল মজুদ করার চেষ্টা করেছে একটা চক্র। খবর পেয়ে মজুদ বন্ধ করে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে ইনভয়েচ ছাড়া আনা চাল কিভাবে মজুদ করছিল পাইকগাছা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ? খাওয়ার অনুপযোগী ইনভয়েচ ছাড়া আনা চালের পিছনে কারা রয়েছে, এনিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
প্রসঙ্গত : গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা থেকে দু’টি ট্রাকে করে মোট ৪০ মেট্রিক টন খাওয়ার অনুপযোগী চাল উপজেলা খাদ্যগুমামে পৌঁছালে কর্তৃপক্ষ ট্রাক থেকে সেগুলো নামিয়ে গুদামে মজুদ করছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম তাৎক্ষণিক খাদ্যগুদামে পৌঁছান। তিনি এই চাল মজুদ বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখতে চাইলে গুদাম কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক দেখাতে ব্যার্থ হলে পরবর্তীতে ইউএনও’র নির্দেশে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুর রহমান খাদ্যগুদামে পৌছে ইনভয়েস ব্যতিত কি ভাবে চাল আনা হলো?
এমনকি মজুদকৃত এই চাল তিনি নি¤œ মোটাদানার এমনকি খাবার অনুপযোগী ঘোষণা করেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাসহ উপজেলার বড় ধান চাউলের মোকাম কপিলমুনির চাল ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেন। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শিবুপদ ঘোষ জানান, ৫শ টনের প্রোগাম এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থেকে রবিবার সকালে দুটি ট্রাকে করে ৪০ টন চাল খাদ্যগুদামে পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শনে এসে আনলোড বন্ধ করে দেন ।
কিন্তু ইনভয়েস বা কাগজপত্র ব্যতিত নিন্মমানের চাল কি ভাবে খাদ্যগুদামে পৌছালো বা কারা আনলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সরকারিভাবে এ চাল আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরোও বলেন, সকালে কাগজপত্র বা ইনভয়েস দেখাতে না পারলেও দুপুরের পর এ সংক্রান্ত কাগজপত্র খাদ্যগুদামে পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা যাচাই করেছেন। তবে ওই চালগুলো নিন্মমানের খাবার অনুপযোগী প্রমানিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে চাল ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম জানান, রবিবার সকালে ট্রাকযোগে চাল খাদ্যগুদামে পৌঁছালে সেগুলো আনলোডকালে তা বন্ধ করে সংশ্লিষ্ঠ কাগজপত্র চাইলে কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি। তবে বিকেলে কাগজপত্র দেখালেও চালগুলো খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় স্যাম্পল রেখে তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমি ডিসি স্যারকে বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিবেন।